রাত ৮ টা ২৯ মিনিট, কুয়াশার সঙ্গে হালকা ঠান্ডা ভাব।
আগামীকাল শহীদ মিনার আর বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য গোপালগঞ্জ থেকে ২ টা পুস্পস্তবক বানিয়ে মাহিন্দ্রায় টুঙ্গিপাড়া বাসস্টান্ড মোড়ে নামার ৯ মিনিটের মাথায় দেখা পেলাম ভ্যানের,
ও ম্যা ভাই জাবেন নিকি?
– একা?
এইতো সাতে এই দুইড্যা ফুলের ডালা।
– কোহানে জাবেন?
বাড়ি জাবো, বিজয় রেস্ট হাউজির গেটে।
– টুঙ্গিপাড়া বাজারের ফাসের বিরিজের গুড়ায় না? যেহেনে ভিআইপি মানুষ আর মুনতীননীরা আসে?
আরেহ! হাপনি দি চেনেন, হয় ওহেনেই ভাই।
– তালি জাবো।
কয় টাহা দিতি হবে?
– ২০ টাহা দেবেন।
ইট্টু বেশি হইয়ে যায় না? ১৫ টাহা দিবানি।
– আচ্ছা, ওঠেন তালি।
ডালার এই ফাসে হাপনি ধরেন।
– ধরছি।
আস্তে এই কুনায় উঠোইয়্যে দেন, ঝাঁহিতে ভাইঙ্গে জাবেনে নিকি আবার?
– এই কুনায় ধইরে বইসে থায়েন, ভাংবে নানে।
আচ্ছা চলেন তালি।
– সামনের সিটে উঠোবো নিকি একজোনরে?
ভ্যানে আর জাগা নাই তো, উঠোবেন কোহানে?
– আগোই তালি, কী কন?
হয়, তাগেদা চলেন ভাই। বাড়ি যাতি হবে, মা কল দিতিছে মেলাখুন ধইরে। শীতও তো করতিছে ভালোই………
উপরে আমার এবং ভ্যানওয়ালা ভাইয়ের কথোপকথনের পুরোটাই আমার গ্রামের ভাষা। আমার মায়ের ভাষা
সকল ভাষা শহীদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
লেখক,
মোঃ বাইজীদ হোসেন সা’দ
টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ
২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১